জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন ২০২২ নতুন মোড়কে পুরনো জিনিস। শুধু যথোপযুক্ত নির্বাচন কমিশন গঠন করলেই তা সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে না। কমিশনকে কর্তব্য সম্পাদনের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব ও সহযোগিতা দিতে হবে। গতকাল বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, ফখরুল ইমাম, মীর আবদুস সবুর আসুদ, এটিইউ তাজ রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জি এম কাদের আরও বলেন, যে আইনটি পাস হয়েছে তাতে শুধু নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে, যথাযথ ক্ষমতার বিষয়টি বিদ্যমান আইনের আওতায় আনা হয়নি। বিষয়টিও বিদ্যমান আইন বা আলাদা একটি আইন হিসেবে আনা দরকার ছিল। জি এম কাদের বলেন, আমরা প্রস্তাব করেছিলাম আগামীতে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে, তার জন্য উপরোক্ত সংবিধানের বিধান অনুসারে একটি আইন করা দরকার। আইনের উদ্দেশ্য হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিশন গঠন এবং সে অনুযায়ী যোগ্য ও মোটামুটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের বাছাই করার মাপকাঠি ও পন্থা সুনির্দিষ্ট করা। তিনি বলেন, আমরা যোগ্যতার মাপকাঠি বলতে দায়িত্ব পালনের দক্ষতাকে বুঝিয়েছি। মোটামুটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য বলতে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে নিরপেক্ষ ব্যক্তি নির্বাচনের কথা বুঝিয়েছিলাম। জাতীয় পার্টির পক্ষে থেকে রাষ্ট্রপতির সংলাপে তিনটি প্রস্তাব করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন। তিনি বলেন, আইনে নির্বাচনকালে নির্বাচনী কাজে কোনো কর্মচারী নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা পালন না করলে নির্বাচন কমিশন নিজেই যেন প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে, সেরকম একটি আইন করা দরকার।
https://www.bd-pratidin.com/first-page/2022/01/30/735766