জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের এমপি বলেছেন, করোনা মোকাবিলায় দেশে কুইক টেস্টিং জরুরি হয়ে উঠেছে। দ্রুততম সময়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হলে রোগীর চিকিৎসায় চিকিৎসকরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গতকাল এক ভিডিও বার্তায় একথা বলেন তিনি। জি এম কাদের বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী যে পদ্ধতিতে করোনাভাইরাসের টেস্ট করা হচ্ছে তা শতভাগ সঠিক ফলাফল দিচ্ছে না। নমুনা সংগ্রহ থেকে বিভিন্ন কারণেই সঠিক ফলাফল আসছে না। সে ক্ষেত্রে কুইক টেস্টিং হলে পরীক্ষার ফলাফল ভালো হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করা যেতে পারে। অথবা বিদেশ থেকে আমদানি করে হলেও কুইক টেস্টিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি চলমান পরীক্ষা-নিরীক্ষার সমালোচনা করে বলেন, টেস্ট করতে তিন দিন সময় লাগে আর রেজাল্ট পেতে সময় লাগে আরও সাত দিন। দেখা যায় দশ দিনে রোগী মারা যাচ্ছে। তাই দ্রুততম সময়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার বিকল্প নেই। জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, করোনা মোকাবিলায় আরও বেশি চিকিৎসক, নার্স নিয়োগ দিতে হবে। করোনা চিকিৎসায় আরও বেশি হাসপাতাল নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে বেসরকারি খাতকে আরও উৎসাহ দিতে হবে। প্রয়োজনে করোনা চিকিৎসায় বেসরকারি খাতকে প্রণোদনা দিতে হবে সরকারের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন, আমাদের দেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। ভারতের চেয়ে ৩ গুণ এবং চীনের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ঘনবসতি আমাদের দেশে। আবার এখানে একটি ঘরে ৮ থেকে ১০ জন বসবাস করে। তারা একটি বাথরুম ব্যবহার করে এমন বাস্তবতায় আইসোলেশন পুরোপুরি কঠিন বিষয়। বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, সরকার লকডাউনকে সীমিত করেছে এটা সঠিক সিদ্ধান্ত।
কারণ, দেশের ৫ কোটি খেটে খাওয়া মানুষকে তিন বেলা খাবার ও ওষুধপত্র দিয়ে লকডাউন সফল করা সম্ভব নয়। সীমিত সম্পদের দেশে পুরোপুরি লকডাউন সফল হবে না। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ জীবিকার জন্য নৌকায় চড়ে সাগর পাড়ি দেয়। জীবিকার জন্য তারা বন-জঙ্গল এবং মরুভূমি পাড়ি দেয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তাই জীবিকার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লকডাউনে দেশের খেটে খাওয়া মানুষ কর্মহীনতায় অনাহারে-অর্ধাহারে আছে। তাই সরকার লকডাউন শিথিল করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সময়োপযোগী পদক্ষেপ বলে মনে করছি। করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তা যথাযথ।