জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দেশের খুন ও ধর্ষণের ঘটনা আন্তর্জাতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইনের শাসন ও সুশাসনের অভাবে দেশে খুন, ধর্ষণ এবং অনাচার-অবিচার বেড়ে গেছে। আইনের ফাঁক দিয়ে প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। আর সে কারণেই অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যায়। আইনের শাসনে কিছুটা ঘাটতি আছে বলেই মানুষ নিজ হাতে আইন তুলে নিচ্ছে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। গতকাল জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে নবগঠিত সাংস্কৃতিক পার্টির পরিচিতি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আহ্বায়ক শেরিফা কাদের সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সদস্য সচিব আলাউদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, এস এম ফয়সাল চিশতী, মীর আবদুস সবুর আসুদ প্রমুখ।জি এম কাদের বলেন, ধর্ষণের প্রতিবাদ জানাতে দেশের মানুষ রাস্তায় নেমেছে। এর চেয়ে লজ্জার কিছু নেই। লালমনিরহাটের বুড়িমারী এলাকায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয় চেয়েও বাঁচতে পারেনি সে। যদি ছেলেটি অপরাধী হয় সে জন্য দেশে আইন আছে- তাকে আইনের মুখোমুখি করা যেত। অপরাধ প্রমাণ হলে প্রচলিত আইনেই তাকে শাস্তি দেওয়া যেত। তিনি এই নির্মম ও নৃশংস হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশে মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার অভাব স্পষ্ট। রাজপথে দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। সর্বস্তরে জবাবদিহিতার অভাবে সুশাসনে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। আমরা দেশ থেকে খুন, ধর্ষণ, অবিচার-অনাচারের অবসান চাই।
link