গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি |
প্রকাশ : রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২০ । বাংলাদেশ প্রতিদিন
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জাতীয় পার্টি সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দল। একই সঙ্গে এও অনুভব করা যায়, জনগণের প্রত্যাশা জাতীয় পার্টি ভালো করুক। নানাবিধ অবস্থার কারণে বর্তমানে ৩০-৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩টি বাদে বাকি সব নেতা ও সাইনবোর্ডসর্বস্ব বলে জনগণ ধারণা করে। ফলে দেশব্যাপী সংগঠন, কর্মসূচি ও আলোচনা-সমালোচনায় আছে শুধু ৩টি রাজনৈতিক দল।আওয়ামী লীগ সরকারি দল। বিএনপি সরকারের প্রথম বিকল্প দল। জাতীয় পার্টি সরকারের দ্বিতীয় বিকল্প দল। দ্বিতীয় বিকল্প দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব টিকে থাকা একটি আশ্চর্য ঘটনা। ৩০ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা ও সম্মিলিতভাবে প্রতিপক্ষ দুটি রাজনৈতিক দল দ্বারা সর্বাত্মক নিষ্পেষণের শিকার হয়ে দলটি দুর্বল হয়েছে কিন্তু সরকার গঠনে নিয়ামক শক্তি বা সরকারের দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সমর্থ হয়েছে। এর প্রধান কারণ দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এরশাদের নয় বছরের শাসনামলের অবদান। কাঠামোগত উন্নয়ন, নানাবিধ সংস্কার কার্যক্রম ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অনবদ্য ভূমিকা রাখায় জনগণের অন্তরের গভীরে জাতীয় পার্টি শিকড় বিস্তারে সক্ষম হয়েছে। ’৯১-পরবর্তী সরকারগুলো এসব বিষয়ে সমান দক্ষতা দেখাতে তেমনটা সফল ছিল না। বিশেষ করে সুশাসন বিষয়টি জাতীয় পার্টির সময়ের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক। সম্ভাবনাময় কথাটি বলছি এ কারণে, আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকায় ভালো ও খারাপ দুই ধরনের কাজ হয়েছে প্রচুর। খারাপ বিষয়গুলো মানুষের মনে সহজে দাগ কাটে ও সেটা সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয়।প্রথম বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি বিএনপির বর্তমান অবস্থা নাজুক বলে প্রতীয়মান হয়। শীর্ষ নেতৃত্বে ঘাটতি ও নেতাদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের অভাব ও সমন্বয়হীনতা প্রতীয়মান হয় অনেক ক্ষেত্রে। দ্বিতীয় বিকল্প জাতীয় পার্টি। এ দলটি সম্পর্কে মানুষের ধারণা ছিল এরশাদ মানে জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি মানে এরশাদ। অর্থাৎ এরশাদবিহীন জাতীয় পার্টির কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। এরশাদের অবর্তমানে শীর্ষ নেতৃত্বের যে শূন্যতার সৃষ্টি হবে তাতে দলটি ধ্বংস হয়ে যাবে।বাস্তবে তেমনটি হয়নি, সম্মিলিতভাবে জাতীয় পার্টি এ শূন্যতা পূরণে প্রচেষ্টা নিয়েছে। দল টিকে আছে, রাজনৈতিক অবস্থান কোনোভাবে নিম্নগামী বলা যায় না। সাধারণ মানুষের অধিকাংশই রাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ইসলামী শাসন ইত্যাদি পদ্ধতির কোনটি ভালো কোনটি মন্দ এগুলো বিষয়ে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। সাধারণ মানুষের চাহিদা ‘সুশাসন’। সুশাসন অর্থ আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজব্যবস্থা।আইনের শাসন অর্থ আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান হবে। আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। আইনের প্রয়োগে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু, ক্ষমতাবান-দুর্বল, সরকারি দল, সরকার সমর্থক, সরকারবিরোধী দল, সরকারবিরোধী সমর্থক কোনো কিছু বিবেচনা করা হবে না। ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজব্যবস্থা হলো যে সমাজের অধিকাংশ মানুষ সমাজ থেকে ন্যায়বিচার লাভ করবে। দলীয় পরিচয় বা ধর্ম, বর্ণ, জাত কোনো আঙ্গিকেই বৈষম্যের শিকার হবে না। তাদের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকবে।আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, ’৯১-পরবর্তী সরকারগুলোর তুলনায় এরশাদের বা জাতীয় পার্টির শাসনামল এ ক্ষেত্রে উন্নত ছিল বলে অনেকে মনে করেন। এ দলের প্রতি মানুষের আকর্ষণের এটি অন্যতম একটি কারণ।বিচারব্যবস্থা নিরপেক্ষ ছিল। প্রশাসন নিয়ম-কানুন রক্ষা করে নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারত। দলীয় কারণে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি দুর্নীতির দৌরাত্ম্য ছিল না। বেকার সমস্যা, ব্যবসা-বাণিজ্য, জিনিসপত্রের দাম যুক্তিসংগত ও নিয়ন্ত্রণে ছিল। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য অপেক্ষাকৃত কম ছিল। নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন, গুম, রাহাজানি, দুর্ঘটনা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- ’৯১-পরবর্তী সময়ের তুলনায় নগণ্য মাত্রায় বিরাজমান ছিল। হঠাৎ কিছুদিন অ্যাসিডসন্ত্রাস বৃদ্ধি পেয়ে সমাজে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-ের বিধান করে ও দ্রুততার সঙ্গে বিচার ও রায় কার্যকর করে সমাজকে সে অভিশাপ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। অনেক সাধারণ মানুষ সে রকম সরকার আবার চায়। সে কারণে তারা চায় জাতীয় পার্টি ১ নম্বর বিকল্প ও ক্রমান্বয়ে সরকারে আসুক। এ প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করছে। এ মুহূর্তে জাতীয় পার্টির সমস্যা দলটি সাংগঠনিকভাবে ও জনসমর্থনের দিক থেকে অন্য দুটি দলের চেয়ে দুর্বল। এটা কাটিয়ে ওঠা এখন তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। জাতীয় পার্টি যদি বাস্তবধর্মী ও সময়োপযোগী রাজনীতি করতে পারে, সংগঠন সাজাতে পারে, জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি দিতে পারে তাহলে এ দলটি সরকারের প্রথম বিকল্প হিসেবে সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গায় পৌঁছতে পারবে। পর্যায়ক্রমে এ দলটির পক্ষে সে পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গঠনও অসম্ভব নয়।সাধারণত রাজনৈতিক কর্মসূচি তিন প্রকারের হয়। প্রথম নির্বাচন। দ্বিতীয় আন্দোলন ও গতানুগতিক রাজনৈতিক কর্মসূচি। তৃতীয় সংগঠন। সবকিছুর গোড়া বা ভিত্তি সংগঠন। সংগঠন থাকলে আন্দোলন ও নির্বাচন সম্ভব। জাতীয় পার্টিকে রাজনীতির অঙ্গনে টিকে থাকতে হলে শক্তিশালী সংগঠন তৈরি করতে হবে। আর সে সংগঠন নিয়ে যে কোনো জনকল্যাণমূলক আন্দোলন, রাজনৈতিক কর্মসূচি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জনগণের মধ্যে, জনগণের অন্তরে আশ্রয় নেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এতে জনসমর্থনও বৃদ্ধি পাবে। সংগঠনের জন্য প্রয়োজন যোগ্য মানুষ ও শৃঙ্খলা বা সুশৃঙ্খল জনসমষ্টি। জাতীয় পার্টির জন্য এ মুহূর্তে যোগ্য মানুষ পাওয়ার সম্ভাবনা ভালো। সরকারি দলে জায়গার অভাব। এ মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতে প্রথম বিকল্প দল। জাতীয় পার্টি ছাড়া রাজনীতিতে আসতে ইচ্ছুক মানুষের যাওয়ার জায়গা খুবই সীমাবদ্ধ।১৯৮২ সালে সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক ক্ষমতা গ্রহণের আগে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশা ছিল সরকার পরিবর্তনের। পরিবর্তনটি সশস্ত্র বাহিনীর হস্তক্ষেপ ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে সম্ভব ছিল না সেটা তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগের উচ্চপদস্থ নেতৃবৃন্দ বিভিন্নভাবে প্রকাশ করেছিলেন। সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক ক্ষমতা গ্রহণের পরে ওই দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হয়েছিলÑ এ ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। অন্য অনেক রাজনৈতিক দল থেকেও একই ধরনের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। জনগণের মধ্য থেকে কোনো বাধা বা প্রতিবাদ লক্ষ্য করা যায়নি। বরং স্বতঃস্ফূর্ত অভিনন্দন ও সমর্থন দেশব্যাপী সর্বস্তরের মানুষের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল। এই হলো ঐতিহাসিক বাস্তবতা। ফলে ওই সময় সেনাবাহিনী প্রধান এরশাদের নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণ গণতন্ত্রবিরোধী বা তাঁর সেই সময়ের কার্যক্রমকে অগণতান্ত্রিক বলা কতটুকু সমীচীন তা যে কোনো সচেতন নাগরিকের ভেবে দেখা প্রয়োজন।বলা হয়, ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে। জনগণের আন্দোলনে এরশাদ ও জাতীয় পার্টি ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। বাস্তবতা কি তাই? কথা ছিল তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী এরশাদ পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। তারপর দেশে সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। অন্য সব দলের মতো তাঁর দল জাতীয় পার্টিও সমান সুযোগ-সুবিধাসহ সে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে। এ রূপরেখা মেনে এরশাদ সংবিধানসম্মতভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন।সঙ্গে সঙ্গে কোনো অভিযোগ ছাড়া বাতিলকৃত বিশেষ ক্ষমতা আইন পুনর্জীবিত করে সে আইনে তাঁকে গ্রেফতার করে কারাবন্দী করা হয়। জাতীয় পার্টির অন্যান্য নেতা-কর্মীকেও একইভাবে কারাগারে আটক করা হয়। নির্বাচন দূরের কথা, জাতীয় পার্টির সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকা- বন্ধ করা হয়।এরশাদকে নির্বাচন থেকে অযোগ্য ঘোষণা করে, জনরায় নেওয়া থেকে তাঁকে ব্যাহত করার ব্যবস্থা করা হয়।জনগণ রুখে দাঁড়ায়। সাধারণ মানুষের দাবির মুখে তাঁকে নির্বাচন করতে দিতে তৎকালীন সরকার বাধ্য হয়। নির্বাচনী কর্মকা- পরিচালনা করতে বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হয়। সরকারি-বেসরকারি সব গণমাধ্যমে সমানে এরশাদ ও জাতীয় পার্টি-বিরোধী প্রচারণা, ব্যক্তিগত চরিত্রহনন সমানে চালানো হয়। নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট পর্যন্ত দেওয়া সম্ভব হয়নি প্রায় স্থানে। তথাপি এরশাদ জেলখানায় বন্দী থেকে ৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। সে সময় ৫টির বেশি আসনে নির্বাচন করার বিধান ছিল না। এত প্রতিকূলতার ভিতরও জাতীয় পার্টি দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩৫ আসনে জয়লাভ করে। পাঁচ বছর পরে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই অবস্থার পুনরাবৃত্তি ঘটে। পুনরায় এরশাদ জেলের অভ্যন্তরে থেকে ৫টি আসনে নির্বাচিত হন। জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হলে বারবার জেলে থেকে তিনি কীভাবে শত প্রতিকূলতার মাঝেও গণরায়ে জয়ী হন! পরবর্তী যখন যেখানে নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন জয়ী হয়েছেন।তাঁকে কি জননিন্দিত নেতা বলা বাস্তবসম্মত? তিনি ছিলেন জননন্দিত নেতা। জনগণের কল্যাণে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ না করলে এ ভালোবাসা, সমর্থন কখনো কি লাভ করা সক্ষম? তাঁর আমলে জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে দেশ পরিচালিত হয়েছে। অনেকেই আজ স্বীকার করেন, এরশাদ ও জাতীয় পার্টির সময় দেশে তুলনামূলকভাবে গণতন্ত্রের অধিকতর চর্চা হয়েছে।অনেকে এরশাদকে স্বৈরাচার বলেন। তাঁর বিরুদ্ধে তিন জোটের আন্দোলনে এ বিষয়টি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু এরশাদের পদত্যাগের পর যাঁরা ক্ষমতায় আসেন তাঁরা তিন জোটের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি -শাসিত সরকারব্যবস্থা পরিবর্তন করে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা প্রচলন করেন। কিন্তু সেখানে ৭০ ধারা সংযোজন করা হয়। যার কারণে কোনো সংসদ সদস্য সংসদে গৃহীত কোনো সিদ্ধান্তে নিজ দলের বাইরে সমর্থন দিতে পারবেন না। এর ফলে সার্বক্ষণিক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সরকারি দলের নেতা, যিনি আমাদের দেশে সাধারণত সরকারপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তিনি সংসদের সব কর্মকা- ও সিদ্ধান্তের নিয়ন্ত্রণ লাভ করেন। সংসদীয় গণতন্ত্রের নির্যাস হলো সংসদ সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করবে। কিন্তু সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংযোজনের মাধ্যমে সে সংসদের নিয়ন্ত্রক হলেন সরকারপ্রধান। ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার কোনো প্রতিষ্ঠান থাকল না। ফলে শাসনব্যবস্থা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে একনায়কতন্ত্র বা স্বৈরতন্ত্রে রূপান্তরিত হলো বলা যায়।উপসংহারে বলতে চাই, এরশাদ জনগণের প্রত্যাশা পূরণে দেশের শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন। গণতান্ত্রিকভাবে দেশ পরিচালনা করেছিলেন। সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। সে কারণে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরও তিনি রাজনীতিতে শুধু টিকে থাকেননি, সর্বদা সক্রিয় ছিলেন ও গণতন্ত্রের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছেন আমৃত্যু। ক্ষমতার ভারসাম্যে নিজের দলকে নিয়ামক শক্তি হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন। মৃত্যুকালে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন।জাতীয় পার্টি আগামীতে তাদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি ও গণতন্ত্রের চর্চায় নিয়োজিত থাকবে। দেশ ও জাতিকে উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে। এটাই বর্তমানে জাতীয় পার্টির রাজনীতি।লেখক : বিরোধীদলীয় উপনেতা।
link:https://www.bd-pratidin.com/editorial/2020/10/25/580315