গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

পটভূমি

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বেসামরিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত বিষয়গুলো তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং পর্যটন সংক্রান্ত বিষয়গুলো বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল। ১৯৭২ সনের সেপ্টেম্বর মাসে বিমান পরিবহন বিভাগ সৃষ্টি করে ঐ বিভাগকে জাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় নামে একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করা হয় কিন্তু ১৯৭৬ সনের জানুয়ারি মাসে পুনরায় এ মন্ত্রণালয়কে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগ হিসাবে রূপান্তর করা হয়। ১৯৭৭ সনের ডিসেম্বর মাসে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় নামে একটি আলাদা মন্ত্রণালয় পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

১৯৮২ সনের ২৪শে মার্চ পুনরায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অবলুপ্তি ঘটে এবং এটিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগে পরিনত করা হয়। ১৯৮৬ সনে সরকারী আদেশ অনুসারে (নং সিডি-৪-৫২-৮৪-রুলস, তারিখ জুলাই ৮, ১৯৮৬) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় পুনরায় একটি মন্ত্রণালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ভিশন বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাব এবং আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে উন্নীতকরণ। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মিশন বেসামরিক বিমান পরিবহনে নিরাপদ, দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য, এভিয়েশন সুবিধাদি প্রদান এবং দেশের পর্যটন আকর্ষনসমূহ বহুমাত্রিকীকরণ ও উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করা।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

চিরায়ত বাংলার অনিন্দ্য-রূপ ও সৌন্দর্যকে ভিত্তি করে পর্যটন খাতের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে দেশকে সমৃদ্ধ করা এবং বিমান পরিবহন সংস্থাকে আধুনিকায়ন করা ও গ্রাহক সেবা প্রদান ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিলক্ষ্য নির্ধারণ করেছেঃ

ক) এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রকৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরা;

খ) পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য উপযুক্ত ও দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলা;

গ) পর্যটন শিল্পকে সবচেয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হিসেবে গড়ে তোলা;

ঘ) বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণসমূহকে বিশ্বব্যাপী প্রচার এবং একে বিশ্ব দরবারে একটি ‘পর্যটন গন্তব্য’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা;

ঙ) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে বিদেশে বাংলাদেশের কান্ট্রি ব্রান্ডিং করা;

চ) প্রতিযোগিতামূলক এভিয়েশন বানিজ্যে টিকে থাকার জন্য বিমানকে দক্ষ, গতিশীল ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা;

ছ) একটি উন্নততর ও সমৃদ্ধ দেশ, সর্বোপরি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ মন্ত্রণালয়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

মন্ত্রণালয়ের কার্যপরিধি বেসামরিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালা প্রনয়ণ এবং বাস্তবায়ন বিমান বন্দরসমূহের আধুনিকায়ন, বিমানপথ ও বিমান সার্ভিসসমূহের সমন্বয়সাধন আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণ, বিমান উড্ডয়নের নিরাপত্তা বিধান, এ্যারোনটিক্যাল পরিদর্শন এবং উড়োজাহাজ ও বৈমানিকের লাইসেন্স প্রদান ট্রাভেল এজেন্সিসমূহের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়ন বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনাপূর্বক পর্যটন সংক্রান্ত যুগোপযোগী আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন, হালনাগাদকরণ ও বাস্তবায়ন পর্যটন শিল্প বিকাশে গবেষণা, আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও দক্ষ জনবল সৃষ্টি দেশের পর্যটন শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে পর্যটন সংক্রান্ত সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সম্পর্কিত স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সাথে চুক্তি সম্পাদন এবং সমন্বয় সাধন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাবলী মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থা সমূহের প্রশাসনিক কার্যক্রম গ্রহণ এবং নিয়ন্ত্রণ। হোটেল এবং মোটেলসমূহের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়ন।